font-help

এই পোস্টটি 2,523 বার দেখা হয়েছে

রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যার সংক্ষিপ্ত জীবনী

রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যার সংক্ষিপ্ত জীবনী

পার্বত্য চট্টগ্রামের চিত্রশিল্প জগতে এক অতি পরিচিত নাম রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা। পিতা শিকল চান তঞ্চঙ্গ্যা। তঞ্চঙ্গ্যা জাতির শ্রেষ্ঠ বিত্তশালী নিকুঞ্জ মহাজনের নাতী। জন্ম শুক্রবার ২৩ শে জ্যোষ্ঠ ১৩৪৭ বাংলা, ১৯৪১ ইংরেজী । বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি থানাধীণ ১২২ নং কুদুবদিয়া মৌজার রাইংখ্যং নদীর তীরে বড়াদম নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চাকুরী জীবনে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি এর অধিনে আমিন। চিত্রশিল্পির কৃতিত্বের জন্য ১৯৮১ ইং সনের ০১ জানুয়ারী মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংবর্ধনা গ্রহণ করেন। তিনি ত্রিপিটকের সূত্র বিনয় ও অভিধর্ম উপাধি লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে রাঙ্গামাটি ‘চারুকলা একাডেমি’ একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারী আর্থিক সহযোগীতা ব্যাতিরেখে তিন পার্বত্য জেলায় এটি সর্বপ্রথম ও একমাত্র চারুকলা শিা প্রতিষ্ঠান। তঞ্চঙ্গ্যা, চাক্মা ও বাংলা গান লিখে ও তিনি স্বীকৃতি পান। এছাড়া ‘তঞ্চঙ্গ্যা জাতি’ নামে একটি বই ও তিনি লিখেন। এছাড়া ও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাময়িকীতে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন।  তিনি ধিব্যেন্দু, অনুপম, দীপংকর নামে তিন পুত্রের পিতা। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে তার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয় বনযোগীছড়া কিশোর কিশোরী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়। এই কার্যালয়ে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে বনযোগীছড়া পাঠাগার।

এই বিভাগের আরো পোস্ট