font-help

এই পোস্টটি 2,298 বার দেখা হয়েছে

জুম্ম জনগণের নেতাদের প্রতি আমার সংপ্তি খোলা চিঠি। শোভন চাকমা

শোভন চাকমা

জুম্ম জনগণের নেতাদের প্রতি আমার সংক্ষিপ্ত খোলা চিঠি

 

প্রিয় নেতাগণ,

প্রথমে জানাচ্ছি সকল নিপিড়িত নির্যাতিত জুম্ম জনগণের প থেকে হাজার ল লাল সালাম। জানি না কতটুকু বাড়াবাড়ি করছি। তবে এটুকু জানি, নিজের দায়িত্ববোধ তথা একজন সচেতন জুম্ম ছাত্র হিসেবে নিজের অধিকার থেকেই বলছি।

 

আমরা জানি, জুম্ম জনগণ বর্তমানে কি অবস্থায় আছে। নির্যাতিত নিপিড়িত হওয়া এই মানুষগুলো কেমন আছেন। ১৯৯৭ সালের আগের কথা বলবো না। বলবো ১৯৯৭ সালের পরের কথা। ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি হলো। চুক্তিটি জুম্ম জনগণকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই চুক্তির অপমৃত্যু কাকে বলে, এই নিরীহ পাহাড়ীগুলো, জুম্মগুলো বুঝে না। এইটা ওদের বুঝার কথাও না। এইটা আপনার বুঝবেন। বুঝবেন কিভাবে সেই স্বপ্নের অপমৃত্যুর হাত থেকে তাদের বাঁচানো যায়।

 

চুক্তির এতগুলো বছর পর আপনারা কেন এখনো চুপ করে আছেন? কেন নিজেদের দ্বন্দ বজায় রেখে জুম্ম জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন? কেন জুম্ম জনগণের ভাগ্যকে নিয়ে আপনারা চিনিমিনি খেলছেন? এই চিনি-মিনি খেলার কোন অধিকার আপনাদের নেই। যদি জুম্মজনগণকে সত্যি ভালবাসেন, যদি তাদের অধিকারকে সমুন্নত রাখতে চান, তাহলে তাদের স্বপ্নকে অপমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান। যদি না পারেন তাহলে ফিরিয়ে দিন জুম্ম জনগণের মহান নেতা এম.এন লারমাকে। যিনি সত্যি ভালবাসেন এই নিরীহ জুম্ম জাতিকে।

 

আপনারা ভালো করে জানেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কটি ুদ্র জাতিস্বসত্ত্বা আছে তাদের সবার চেহারা মোটামুটি এক। তাদের মধ্যে ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও মন-মানসিকতার মিল রয়েছে অনেক েেত্র। এই নিরীহ মানুষগুলো রাজনীতি বোঝে না। কেন তাদেরকে নিয়ে চিনি-মিনির রাজনীতি খেলছেন? কেন একজন চাক্মাকে বাধ্য করছেন আরেকজন চাক্মাকে মারতে? কেন বাধ্য করছেন একজন মারমাকে অন্য একজন মারমাকে মারতে? কিংবা কেন একজন ত্রিপুরাকে মারতে বাধ্য করছেন আরেকজন ত্রিপুরাকে।

 

কেন একটি সহজ জিনিস আপনারা বুঝতে পারছেন না, যে চাকমাটি মারছে কিংবা যে মরছে

দুজনই চাকমা, তাদের ভাষা চাকমা, তাদের ধর্ম এক এবং চেহারাও এক। এইটি ত্রিপুরা

এবং মারমার েেত্রও প্রযোজ্য।

 

আমরা জানি, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক শিতি ছেলে আছেন। এই শিতি ছেলের সংখ্যাটি মহান নেতা এম.এন লারমার সময়ের চাইতে অনেক অনেক বেশি। সেই সময় লারমা যদি সেই কম সংখ্যক নিরীহ জুম্ম জনগণকে নিয়ে লড়াই করতে পারেন। জুম্ম জনগণকে কিভাবে বাঁচার সংগ্রাম করতে হয় তা শিখিয়ে যেতে পারেন। তাহলে আপনারা কেন পারেন না? কেন আপনার মহান নেতা এম. এন লারমার মত নিরীহ জুম্ম জনগণকে স্বপ্ন দেখাতে পারেন না? স্বপ্ন দেখাতে কোথায় আপনাদের অসুবিধা? কোথায় আপনাদের ভয়?

 

১৯৯৭ সালের পর যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাই চুক্তির পরেও কিভাবে আমাদের জুম্ম ভাই-বোনেরা বাঙালিদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেন এই নির্যাতনের পরও চুপ করে থেকেছি? কেন এর সমুচিত জবাব দিতে পারিনি? কেন এর বিচার পায়নি? কেন এর পাল্টা প্রতিশোধ নিতে পারিনি? এর জন্য কি আমরা দায়ী নয়? এর জন্য কি জুম্ম-জনগণের মহান নেতা, আপনারা দায়বদ্ধ না? এর জন্য কি আপনাদের মনে প্রতিশোধ নিতে না পারার অনুশোচনা জাগে নি? কে দেবে এর জবাব? আপনারা না সেই নির্যাতিত নিপিড়ীত আমার জুম্ম ভাই-বোন।

 

কোন সংগ্রাম বা প্রতিশোধ নিতে গেলে নেতৃত্বের দরকার হয়। এখন সেই নেতৃত্বে কি আপনারা দেবেন? নাকি জুম্ম  জনগণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন, আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। জুম্ম জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আমরা এর প্রতিশোধ নিতে না পারি কিংবা এইসব নির্যাতনের সমুচিত জবাব দিতে না পারি তাহলে জুম্ম জনগণের সংগ্রামে শহীদদের আত্মাগুলো আপনাদেরকে উপহাস করবে। তাঁদের পবিত্র রক্ত বৃথা যাবে। তাঁেদর পবিত্র রক্ত আপনারা বৃথা যেতে দেবেন, না দেবেন না তা আপনাদের উপরই নির্ভর করবে। আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন মহান নেতা এম.এন লারমার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবেন নাকি তা জলাঞ্জলি দেবেন?

 

শেষে ল্যাটিন আমেরিকার মহান বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার একটি বক্তব্য তুলে ধরবো, তিনি বলেছিলেন, “ যেখানে কোথাও মত প্রকাশের প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক কোন পথ খোলা নেই, যেখানে অস্ত্র ছাড়া কোনভাবেই দাড়ানো সম্ভব না, যেখানে শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের দাপটে রাষ্ট্রীয় আইন ও থর থর করে কাঁপে, যেখানে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা মানে খুন-গুম হওয়া, সেখানে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে কেন অস্ত্র ব্যবহার হবে না? কেন সেখানে গোপন সংগঠন গড়ে উঠবে না?”

 

এই মহান বিপ্লবীর বক্তব্যের সাথে আমাদের বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থাও কিন্তু এক। এই কথাটি বর্তমানে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক বেশি যৌক্তিক। তাই আপনাদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ আপনারাই  সিদ্ধান্ত নেবেন, জুম্ম  জনগণেরভাগ্য কি হবে।

 

আমার এই চিঠিটা আপনাদের মনে যদি একটু হলেও নাড়া দিয়ে থাকে, তাহলে জুম্ম জনগণের প থেকে মনে করবো আমি স্বার্থক। সবশেষে সেই নিপীড়িত নির্যাতিত জুম্ম জনগণকে নিকারাগুয়ার মহান কবি মিশেল নজিলিশ এর “ঞযব চঁৎংঁবফ ঁং রহ ঃযব হরমযঃ” কবিতাটি উৎসর্গ করে শেষ করবো-

 

রাতের অন্ধকারে তারা আমাদের তাড়া করে

আমাদের ঘেরাও করে

আত্মরার জন্য আমাদের হাহাকার ছাড়া আর কিছুই থাকে না

ল ল হাত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়

তারা আমাদের হাতকে পরিণত করে রক্তে

তারা আমাদের চাবুক মারে।

বিদ্যুতের চাবুকে তারা আমাদের শরীর ত-বিত করে,

আমাদের মুখ ভরে যায় রক্তে …………

তারা ছাদের তলা ঢেকে দেয়,

এমনকি নিজেদের মুখও

সবই আমাদের রক্ত দিয়ে

তারপরও আমাদের হাত যুক্ত থাকে

ল ঐক্যবদ্ধ হাতের সঙ্গে ॥

 

 

মনোজ বাহাদুর

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা ও এ প্রসঙ্গে একটি আলোচনা

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়টি আদিবাসী বাস করে তা এখনো সঠিক ভাবে চিহ্নিত নয়। কেউ বলেন ১১ টি আবার কেউ বলেন ১২ টি, কারো কারো মতে ১৪টি। রাঙ্গামাটি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের প্রকাশনা সমুহে ১১টি আদিবাসীর কথা বলা হয়েছে। টঘউচ এর বিভিন্ন নথিপত্রে ও আদিবাসীদের সংখ্যা উলেখ করা হয়েছে ১১টি । পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক লিখিত প্রকাশনা সমুহেও আদিবাসীদের সংখ্যা নিয়ে মতদ্বৈততা ল্যনীয়। ইউএনডিপি ও উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের হিসাব অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীর তালিকা নিুরুপঃ- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, পাংখোয়া, বম, ম্রো, খুমি, চাক, খিয়্যাং।

 

বান্দরবান জেলায় আরেকটি আদিবাসী জনগোষ্টি আছে তাদের নাম উসুই/রিয়াং। বিভিন্ন প্রকাশনায় উসুইদের বিভিন্ন বর্ননা থাকলেও তাদের নাম আদিবাসীদের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত নয়। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার প্রাক্তন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ড. জাফর আহমেদ খান সম্পাদিত ইদানিং কালে  প্রকাশিত বৈচিত্রের ঐকতান বইটিতেও উসুই/রিয়াং আদিবাসীর বর্ণনা রয়েছে। অনেকে যুক্তি হিসেবে বলে থাকেন যে ত্রিপুরাদের সাথে মিল থাকার কারণে তাদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হয় নি। তবে কথাটি ধোপে টেকে না কারণ এ ধরণের মিল চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের মধ্যে ও রয়েছে। লুসাই, পাংখোয়া ও বমের মধ্যেও অনেক মিল  আমরা ল্য করি।

 

পৃথিবীতে সকলেই নিজেদের পরিচয়ে পরিচিত হতে চায়। অন্যান্য আদিবাসীদের মত উসুই/রিয়াং আদিবাসীদের ও নিজ পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের নাম করণ যেহেতু ভিন্ন সেহেতু তাদেরকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করাই সমীচীন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো ৩(তিন) টি আদিবাসী জনগোষ্টি শত বর্ষ ধরে বাস করে আসছে। তারা হলেন গুর্খা, আসাম ও সাওঁতাল। কিন্তু তাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে প্রতি পদে পদে। অনেকের ধারনা জ্ঞানপাপী  স্বনামধন্য তথাকথিত পার্বত্য লেখক গন হয়তো বা সরকারী সুযোগ সুবিধা ভাগাভাগির হিসেব কষে ইচ্ছে করেই তাদের কথা জন সমে তুলে আনেন নি। আর আদিবাসী রাজনৈতিক নেতারাও সংখ্যালঘু এ সব জনগোষ্ঠিকে হিসাবে আনেন নি অবহেলা করে। পাহাড়ী  হিসেবে এ সব জনগোষ্টিকে সুবিধা বুঝে সুযোগমত ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও পাওয়ার হিসেব তাদের শুন্য। এ যাবত তাদের অধিকার অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে তারা ধর্না দিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের সকল প্রকার অধিকার হতে বঞ্চিত। পার্বত্য চুক্তিতে এবং স্থানীয় প্রশাসনিক আঠামো আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ সমুহে তাদের অর্ন্তভুক্ত করা হয় নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্টির জনগণ যে সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে সে সব সুযোগ সুবিধা হতে তারা বঞ্চিত।

 

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের হিসাব মতে বাংলাদেশে আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৫টি। সুখের কথা যে,এই তালিকায় পার্বত্য আদিবাসীদের মধ্যে তালিকা বহির্র্ভুত গুর্খা, আসাম ও সাওঁতালের নাম অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। সঠিক তথ্য প্রদান এবং পার্বত্য আদিবাসীদের তালিকা বহির্ভূত এই তিন জাতি গোষ্টির নাম অর্ন্তভূক্ত করার জন্য বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মাননীয় সভাপতি শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা  ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জীব দ্রং কে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। এখানে একটি বিষয় উলেখ না করলেই নয় আর তা হলো ইউএনডিপির কার্যক্রমে শিথিলতা। আমার জানা মতে ইউএনডিপি যে কোন প্রকল্প করার আগে একটি সার্ভে বা জরিপ পরিচালনা করে থাকে। যদি সত্যি কোন জরিপ করা হয়ে থাকে তবে এই ৩টি আদিবাসীদের নাম বাদ পড়ার কথা নয়।

 

২০০৫ সালের আদম শুমারীতে গুর্খা জনগোষ্টির নাম পার্বত্য আদিবাসীদের তালিকায় সরকারী ভাবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। পার্বত্য আদিবাসীদের কল্যানে এই আর্ন্তজাতিক সংস্থার বহু কার্যক্রম চলমান। কিন্তু বাস্তব সার্ভে করার পরও তাদের তথ্যে এ ধরণের ভুল থাকাটা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয় বলে অনেকের ধারণা। ইউএনডিপি আয়োজিত গত ডাইভারসিটি কালচারাল ফেস্টিভ্যালে গুর্খা ও আসাম আদিবাসীদের অন্যায়ভাবে অর্ন্তভূক্ত করা হয় নি। বিষয়টির প্রতি  যথাযথ কর্তৃপরে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলো।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল উপজাতি/পাহাড়ী আদিবাসীদের তালিকা করতে গেলে  পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের সংখ্যা হবে ১৫টি। কোন সংখ্যাগরিষ্ট আদিবাসী জনগোষ্টির সাথে মিল থাকার অজুহাতে  একটি জাতি স্বত্বাকে অস্বীকার করা বর্তমান সময়ে যুক্তিযুক্ত কিনা তা পাঠক বিবেচনা করবেন। এমন হলে পৃথিবীর নৃত্বাত্তিক ইতিহাস কি মিথ্যা হয়ে যাবে না? বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. জাফার আহমদ হানাফি লিখিত উপজাতীয় নন্দন সংস্কৃতি বইটি সহ পার্বত্য আদিবাসী বিষয়ক অনেক পুস্তকে উসুইদের সংস্কৃতি নিয়ে  বর্ননা করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রকাশনা সমুহে উল্লেখযোগ্য কিছু  প্রাচীন বাদ্য যন্ত্র উসুই আদিবাসীদের সৃষ্টি করা- মর্মে  উলেখ থাকায় এটি ধারণা করা সম্ভব যে উসুই আদিবাসী জনগোষ্টির একসময় আলাদা সংস্কৃতি ও পরিচিতি ছিল।  সে যা হোক, এ যাবত আমার প্রাপ্ত তথ্য মতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী আদিবাসীদের তালিকা নিুরুপ- আমি পার্বত্য আদিবাসীদের অবস্থানগত একটি তথ্য উপস্থাপন করলাম ঃÑ

ক্রমিক    আদিবাসী বসবাসরত জেলা

১          চাকমা     রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান

২          মারমা     বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি

৩          ত্রিপুরা     বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি

৪          তঞ্চঙ্গ্যা   রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

৫          লুসাই     রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

৬          পাংখোয়া রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

৭          বম        রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

৮          ম্রো        রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

৯          খুমি       বান্দরবান

১০        চাক       বান্দরবান

১১         খ্যাং       রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

১২        উসুই      বান্দরবান

১৩        গুর্খা       রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

১৪        আসাম    রাঙ্গামাটি

১৫        সাওঁতাল  রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের এই ১৫ টি আদিবাসী জনগোষ্ঠির রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন  ভাষা, আচার অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, প্রথা ও ঐতিহ্য। বর্তমান প্রোপটে আদিবাসীদের এসব কিছু মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। ভিন্ন সংস্কৃতির আগ্রাসন, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, নিজ নিজ সংস্কৃতিকে লালন করার প্রতিকুলতা ইত্যাদি নানান কারণে আজ তারা নিজেদের সাংস্কৃতিক এতিহ্যকে হারাতে বসেছে। সরকারী ভাবে তিন জেলায় প্রতিষ্ঠিত উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট গুলি সীমিত ভাবে এসব পার্বত্য আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংরণের কাজ করে থাকলেও এ উদ্যোগটি আরো ব্যাপকতার দাবী রাখে।

 

আসলে সংস্কৃতি বলতে আমরা কি বুঝি। অনেকের ধারণা গান, বাজনা, নাটক, অভিনয় অর্থাৎ সামাজিক জীবনের আনন্দ উপকরণ ও অনুষ্ঠানাদি বা বিষয় গুলিই সংস্কৃতি। বিষয়টি আসলে তা নয়। সংস্কৃতি ব্যাপক একটি বিষয়। বিশ্বের বড় বড় সমাজ বিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানীদের মতে, মানব সভ্যতার উত্তরণে ও বিবর্তনে সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ জীবন যাপনের প্রয়োজনে ও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবেশে থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে যা কিছু সৃষ্টি করেছে বা বিশ্বাস করেছে সে সবই তার সংস্কৃতি। বংশ পরস্পরায় এটি মানব সভ্যতার মাধ্যমে সুদুর অতীত হতে চলে আসছে এবং আগামীতে ও চলতে থাকবে।

 

নৃবিজ্ঞানী ই বি টাইলরের মতে সংস্কৃতি মানুষের বিশ্বাস, ধ্যান ধারণা, প্রথা, আইন কানুন, নৈতিকতা, শিল্প সাহিত্য, চিন্তা চেতনা,ও বিভিন্ন দতা, মতা ইত্যাদির যৌগিক রূপ। অনেকে আদিবাসীদের সংস্কৃতির উন্নয়ণ ও বিকাশের কথা বলে থাকেন। আসলে সংস্কৃতির উন্নয়ন/বিকাশ ও সংরণ বিষয়টি ব্যাপক ও জটিল একটি বিষয়। যাদের সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা হবে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা ছাড়া এ কাজটি কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এ কাজটি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ ও দ জনবল। দীর্ঘ সময় নিয়ে যারা এ কাজে নিজেদের জড়িত রেখে তিলে তিলে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তাদের খুজে বের করে এ সব কাজে লাগানো হলে কাঙ্খিত ফল লাভ সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। একটি জাতি গোষ্ঠির সংস্কৃতি কে সংরণের কাজটি যতটা সহজ তার সংস্কৃতির উন্নয়ন বা বিকাশের কাজটি ততটাই জটিল বলে আমার ধারণা। কারণ দীর্ঘ অতীতের চিন্তা, চেতনা, জাগতিক পরিবেশ, সময় কাল, অনুসারে উদ্ভূত সমস্যাদি সমাধানের কৌশল, জীবন যাপনের জন্য সময়ের চাহিদানুসারে অর্জিত অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, আচার আচরণ, অনুষ্ঠানাদি, সকলই একটি জাতি গোষ্ঠির সময় কাল নির্ভর নিজস্ব সৃষ্টি এবং এ সবই তার সংস্কৃতি। আর এ সবের বিবর্তন ও ঘটে সময় ও কালের ব্যবধানে বংশ পরষ্পরায়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।  তবে অন্য কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সব কিছুর উন্নয়ন বা বিকাশ তথা বর্তমান সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কার্যক্রম (তথাকথিত উন্নয়ন) হয়তো নেয়া যেতে পারে কিন্তু এ প্রক্রিয়াকে সংস্কৃতির উন্নয়ন/বিকাশ  বলা যাবে কি?

 

তবে সুখের বিষয় ইউনেস্কো  পার্বত্য আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে রা ও সংরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারা সংস্কৃতির উন্নয়ণ নিয়ে কথা বলেন নি তারা বলেছেন রা ও সংরণের কথা। গত ১৭ অক্টোবর ২০০৩ তারিখে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে ঝধভবমঁধৎফরহম ড়ভ ঃযব ওহঃধহমরনষব ঐবৎরঃধমব বিষয়ে  একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তারা ব্যাপক অর্থে এটি কে নাম করণ করেন রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব. ওহঃধহমরনষব শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো রহফবভরহধনষব /রহফবংপৎরনধনষব/যধৎফ ঃড় ফবভরহব. সংস্কৃতি বিষয়টি ব্যাপক হওয়ায় তারা সংস্কৃতির উপকরণ গুলোকে ভেঙে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে তা রা ও সংরণের পরিকল্পনা করছেন।  যার ব্যাখ্যা নিুরুপঃ Ñ

১. “রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব” সবধহং ঃযব ঢ়ৎধপঃরপবং, ৎবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হং, বীঢ়ৎবংংরড়হং, শহড়ষিবফমব, ংশরষষং – ধং বিষষ ধং ঃযব রহংঃৎঁসবহঃং, ড়নলবপঃং, ধৎঃবভধপঃং ধহফ পঁষঃঁৎধষ ংঢ়ধপবং ধংংড়পরধঃবফ ঃযবৎবরিঃয – ঃযধঃ পড়সসঁহরঃরবং, মৎড়ঁঢ়ং ধহফ, রহ ংড়সব পধংবং, রহফরারফঁধষং ৎবপড়মহরুব ধং ঢ়ধৎঃ ড়ভ ঃযবরৎ পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব. ঞযরং রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব, ঃৎধহংসরঃঃবফ ভৎড়স মবহবৎধঃরড়হ ঃড় মবহবৎধঃরড়হ, রং পড়হংঃধহঃষু ৎবপৎবধঃবফ নু পড়সসঁহরঃরবং ধহফ মৎড়ঁঢ়ং রহ ৎবংঢ়ড়হংব ঃড় ঃযবরৎ বহারৎড়হসবহঃ, ঃযবরৎ রহঃবৎধপঃরড়হ রিঃয হধঃঁৎব ধহফ ঃযবরৎ যরংঃড়ৎু, ধহফ ঢ়ৎড়ারফবং ঃযবস রিঃয ধ ংবহংব ড়ভ রফবহঃরঃু ধহফ পড়হঃরহঁরঃু, ঃযঁং ঢ়ৎড়সড়ঃরহম ৎবংঢ়বপঃ ভড়ৎ পঁষঃঁৎধষ ফরাবৎংরঃু ধহফ যঁসধহ পৎবধঃরারঃু. ঋড়ৎ ঃযব ঢ়ঁৎঢ়ড়ংবং ড়ভ ঃযরং ঈড়হাবহঃরড়হ, পড়হংরফবৎধঃরড়হ রিষষ নব মরাবহ ংড়ষবষু ঃড় ংঁপয রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব ধং রং পড়সঢ়ধঃরনষব রিঃয বীরংঃরহম রহঃবৎহধঃরড়হধষ যঁসধহ ৎরমযঃং রহংঃৎঁসবহঃং, ধং বিষষ ধং রিঃয ঃযব ৎবয়ঁরৎবসবহঃং ড়ভ সঁঃঁধষ ৎবংঢ়বপঃ ধসড়হম পড়সসঁহরঃরবং, মৎড়ঁঢ়ং ধহফ রহফরারফঁধষং, ধহফ ড়ভ ংঁংঃধরহধনষব ফবাবষড়ঢ়সবহঃ.

 

২. ঞযব “রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব” ধং ফবভরহবফ রহ ঢ়ধৎধমৎধঢ়য ১ ধনড়াব, রং সধহরভবংঃবফ রহঃবৎ ধষরধ রহ ঃযব ভড়ষষড়রিহম ফড়সধরহং:

(ধ) ড়ৎধষ ঃৎধফরঃরড়হং ধহফ বীঢ়ৎবংংরড়হং, রহপষঁফরহম ষধহমঁধমব ধং ধ বযরপষব ড়ভ ঃযব রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব;

(ন) ঢ়বৎভড়ৎসরহম ধৎঃং;

(প) ংড়পরধষ ঢ়ৎধপঃরপবং, ৎরঃঁধষং ধহফ ভবংঃরাব বাবহঃং;

(ফ) শহড়ষিবফমব ধহফ ঢ়ৎধপঃরপবং পড়হপবৎহরহম হধঃঁৎব ধহফ ঃযব ঁহরাবৎংব;

(ব) ঃৎধফরঃরড়হধষ পৎধভঃংসধহংযরঢ়.

 

এটিকে সংরণ ও প্রচলনের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনেস্কো পার্বত্য এলাকায় একটি সার্ভে পরিচালনা করেছেন ও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাদের ভাষায় এসব সংরণ এর ব্যাখ্যাÑ“ঝধভবমঁধৎফরহম” সবধহং সবধংঁৎবং ধরসবফ ধঃ বহংঁৎরহম ঃযব রধনরষরঃু ড়ভ ঃযব রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব, রহপষঁফরহম ঃযব রফবহঃরভরপধঃরড়হ, ফড়পঁসবহঃধঃরড়হ, ৎবংবধৎপয, ঢ়ৎবংবৎধঃরড়হ, ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ, ঢ়ৎড়সড়ঃরড়হ, বহযধহপবসবহঃ, ঃৎধহংসরংংরড়হ, ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু ঃযৎড়ঁময ভড়ৎসধষ ধহফ হড়হ-ভড়ৎসধষ বফঁপধঃরড়হ, ধং বিষষ ধং ঃযব ৎবারঃধষরুধঃরড়হ ড়ভ ঃযব ধৎরড়ঁং ধংঢ়বপঃং ড়ভ ংঁপয যবৎরঃধমব.

 

আমার জানামতে পার্বত্য এলাকায়  কিছু এনজিও বিছিন্ন ভাবে এ বিষয়ে কাজ করছে। এটি আশার কথা। আদিবাসী সুধীজন ও সাধারণ জনগনের মাঝে বিষয়টি চলে আসা জরুরী। স্ব স্ব জাতি সত্বা তাদের নিজস্ব ভাষা ঐতিহ্য তথা সংস্কৃতিকে রা ও সংরণের উদ্যোগ নিজেদের গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়। এতে ইউনেস্কোর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়ক  হবে বলে আমি মনে করি।

 

সহজ করে বলতে গেলে “ওহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব” অর্থাৎ অধরা সংস্কৃতি যা ধরা ছোঁয়া যায় না, যাকে বাঁধা যায় না। যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান পারিপার্শিকতা, প্রতিবেশ ও পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি জনগোষ্টি তাদের আচার আচরণ ইতিহাস ও বিশ্বাসের সৃষ্টি, বিবর্তন ও পরিবর্তন ঘটায় এবং এসব মুখে মুখে ও বংশ পরষ্পরায় আবর্তিত হয়, অনুভবে ও বিশ্বাসে এ সবই ওহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব.

ইউনেস্কোর ব্যাখ্যানুসারে এটি ৪ ভাগে বিভক্ত ঃ-

(ধ) ঙৎধষ ঃৎধফরঃরড়হং ধহফ বীঢ়ৎবংংরড়হং, রহপষঁফরহম ষধহমঁধমব ধং ধ বযরপষব ড়ভ ঃযব রহঃধহমরনষব পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব যেমন-মুখে মুখে বিবর্তিত ও সম্প্রসারিত। যেমন- কবিগান, পালা গান, বাগধারা, রুপকথা, বীরত্বগাথা, ইতিহাস নামা, লোক সাহিত্য ইত্যাদি।

(ন) ঢ়বৎভড়ৎসরহম ধৎঃং-যেমন-অভিনয়, যাত্রা, চিত্র কলা, গান,নাচ, বাদ্যযন্ত্র বাদন, শারিরীক কসরত, খেলাধুলা ইত্যাদি

(প) ংড়পরধষ ঢ়ৎধপঃরপবং, ৎরঃঁধষং ধহফ ভবংঃরাব বাবহঃং- যেমন- সামাজিক অনুষ্ঠানাদি, প্রথা, বিশ্বাস, সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবাদি।

(ফ) শহড়ষিবফমব ধহফ ঢ়ৎধপঃরপবং পড়হপবৎহরহম হধঃঁৎব ধহফ ঃযব ঁহরাবৎংব – যেমন-খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য সংগ্রহের কৌশল (ফাঁদ), আত্মরার কৌশল, বিভিন্ন দেব দেবীর পুজা, ওঝা গিরি, মন্ত্র শক্তি, ইচ্ছাশক্তি, যাদু টোনা, ভেষজ ও আদিভৌতিক চিকিৎসা ইত্যাদি।

(ব) ঃৎধফরঃরড়হধষ পৎধভঃংসধহংযরঢ়- বাদ্য যন্ত্র , পোষাক পরিচ্ছদ, দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রাকৃতিক উপাদানে নির্মিত আসবাব ও তৈজষপত্র, গৃহনির্মান শৈলী, খাদ্যাভাস, জীবন ও আত্মরার জন্য ব্যবহার্য উপকরন ইত্যাদি।

 

হয়তো আরো অনেক কিছু রয়েছে যা এ মুহুর্তে আমার মনে আসছে না। আমার জানা মতে রাঙ্গামাটি জেলা সদরে প্রতি বছরেই পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পৃষ্টপোষকতায় বিঝু/বিষু/বিহু/সাংগ্রাই/বৈসুক পালন উপলে এ সব বিষয়ের প্রতি ল্য রেখে অনুষ্ঠানাদি সাজানো হয়ে থাকে। এ অনুষ্ঠান সমুহে সংপ্তি ভাবে পঁষঃঁৎধষ যবৎরঃধমব এর অংশ হিসেবে মারমাদের ঐতিহ্য বাহী পানি খেলা , চাকমাদের ফুল ভাসানো, গেংখুলি গানের আসর, প্রাচীন বাদ্য যন্ত্রাদি বাদন, প্রাচীন খেলা ধুলা, মন্ত্র শক্তির অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্যানুষ্ঠান  ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ বছর ২০১০ সনেও ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৩/৪ বছর যাবৎ বিঝু/বিষু/বিহু/সাংগ্রাই/বৈসুক পালন উপলে গঠিত সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি।  আমার জানা মতে এ অনুষ্ঠান গুলি আয়োজনে আয়োজকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কারণ সাধারণ ভাবে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন এই সব অনুষ্ঠানাদির চর্চা করা হয় না। তাছাড়া এই সব অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও নিয়মাবলী জানা বয়স্ক আদিবাসীদের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে এসব ঐতিহ্য।

 

সে হিসেবে বলতে গেলে বলতে হয় ইউনেস্কো কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগটি সময়োপযোগী এবং পার্বত্য আদিবাসীদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান একটি উদ্যোগ এতে কোন সন্দেহ নেই।

 

বিদ্রঃ- এই লেখাটি ২০১০ ইং সালে বনযোগীছড়া কিশোর কিশোরী কল্যাণ সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত স্ববন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

এই বিভাগের আরো পোস্ট

Tags: 

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*